মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় খাটের নিচ থেকে শিপা আক্তার (১৪) ও কামরুল হাসান (১০) নামে ভাই-বোনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ আগস্ট) বিকালে তিতাস নদীর পূর্ব পার্শ্বে ছলিমাবাদ গ্রামের প্রবাসী মোস্তফা মিয়ার বাসা থেকে ভাই বোনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিপা আক্তার বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী এবং কামরুল হাসান সলিমাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবা-মাকে হেফাজতে রেখেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
তবে দুই ভাইবোনকে হত্যা ঘটনায় পুলিশের সন্দেহ স্বজনদেরকে। তাই তাদের আপন মামাকে খুঁজছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তাদের মামা বাদল মিয়া (৩৫)। তবে কি কারণে ভাইবোন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার তা এখনো রহস্যাবৃত। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। গতকাল দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে মরদেহ ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয় দু-সহোদর ভাইবোনের।
পুলিশ বলছে, বাদলকে আটক করা গেলে হত্যার প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসবে। বাদল বাঞ্ছারামপুর গ্রামে তার বোনের বাড়িতেই ছিলো গত দু-আড়াই মাস ধরে। ঘটনার সময় সে, তার বোন ও বোন জামাই ছাড়া ওই বাড়িতে কেউ ছিলো না ওই বাড়িতে। বাদলের বাড়ি হোমনার খোদে দাউদপুর গ্রামে। সে সৌদিতে থাকতো। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।
হত্যার আগে স্কুলছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিহতদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুরো ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
এর সাথে নারী ঘটিত বা সম্পত্তির কোন বিষয় রয়েছে কিনা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। সলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেবাবাদ গ্রামে নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে শিফা আক্তার (১৪) ও কামরুল হাসান (১০) নামে আপন দুই ভাই বোনের মরদেহ সোমবার রাতে পুলিশ উদ্ধার করে।
শিফা বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ও কামরুল সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। ওইদিন বিকেলে কামরুল নিখোঁজ হয় প্রথমে। তাকে খুঁজতে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় শিফাকে ঘরে রেখে যান তার মা হাসিনা আক্তার।
পরে ঘরে এসে দেখেন শিফাও নেই। নিখোঁজ দু’জনের খোঁজ পেতে এলাকায় মাইকিং করা হয় এবং রাত সাড়ে ৮টায় থানায় গিয়ে পুলিশের সহায়তা চান তাদের বাবা-মাসহ স্বজনরা। শিফা ও কামরুলের পিতা কামাল উদ্দিন ৫ মাস আগে সৌদি থেকে দেশে আসেন।
Leave a Reply